প্রকাশিত: ০৪/১০/২০১৮ ৮:৩২ পিএম

ক্রীড়া ডেস্ক :

গত এশিয়া কাপে ভারতের কাছে ২ রানে হার কিংবা সর্বশেষ এশিয়া কাপের ফাইনালে শেষ বলে পরাজিত হওয়ার বেদনা বহন করে চলছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। তাদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই কিনা যুব এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে ভারতের কাছে ২ রানে হেরে গেল অনূর্ধ্ব-১৯ দল! সেই সঙ্গে শেষ হয়ে গেল ফাইনাল খেলার স্বপ্ন!

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি ভারতের।

ওপেনার দেবদত্ত পাদিক্কালকে কট বিহাইন্ড করে ফেরান শরিফুল। যশ্বসী জয়সওয়াল ও অনুজ রাওয়াত সতর্ক ব্যাটিংয়ে এই বিপদ সামাল দেন। সুইপ করে তৌহিদকে উড়ানোর চেষ্টায় শরিফুলের হাতে ধরা পড়ে শেষ হয় ৬১ বলে খেলা অনুজের ৩৫ রানের ইনিংস। সর্বোচ্চ ৩৭ রান করা ওপেনার যশস্বীকে বোল্ড করে দেন লেগ স্পিনার রিশাদ।
অফ স্পিনে তৌহিদ দ্রুত ফেরান যশ রাঠোরকে, রিশাদ বিদায় করেন অধিনায়ক সিমরানকে। ১ উইকেটে ৬৯ থেকে ৭ উইকেটে ৭৫ হয়ে যায় ভারতের স্কোর। ৬ষ্ঠ উইকেটে আয়ুশ বাদোনি ও সমীর চৌধুরী গড়েন ৫৯ রানের জুটি। দুই ছক্কায় ৩৯ বলে ২৮ রান করে ফিরেন বাদোনি। শেষের দিকে ফিরে বড় বাধা হয়ে থাকা সমীরকে (৩৬) বোল্ড করে দেন শরিফুল।

এরপর অতিথিদের ইনিংসের লেজ দ্রুত ছেটে দেন শরিফুল ও মৃত্যুঞ্জয়।

রান তাড়ায় শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। দুই ওপেনার প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ও সাজিদ হোসেনকে দ্রুত বিদায় করেন মোহিত জাংরা। ভারতকে উইকেট উপহার দিয়ে আসেন দুই ব্যাটিং ভরসা মাহমুদুল হাসান ও তৌহিদ হৃদয়। বাঁহাতি স্পিনার সিদ্ধার্থ দেশাইকে সুইপ করে সীমানায় ধরা পড়েন তিন চার ও এক ছক্কায় ২৫ রান করা মাহমুদুল। দেশাইকে স্লগ করতে গিয়ে কিপার সিমরান সিংয়ের হাতে ধরা পড়েন অধিনায়ক তৌহিদ। এরপর রিশাদ হোসেনের বিদায়ে ২০ ওভারে ৬৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। সেখান থেকে শামিম-আকবরের জুটিতে স্বাগতিকরা লড়াইয়ে ফিরে।

ষষ্ঠ উইকেটে শামিম-আকবর গড়েন ৭৪ রানের দারুণ জুটি। ৬৩ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় ৪৫ রান করা কিপার ব্যাটসম্যান আকবরকে ফিরিয়ে বাংলাদেশের প্রতিরোধ ভাঙেন হার্শ তিয়াগী। এর পরপরই ফিরতি ক্যাচ নিয়ে মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীকে বিদায় করেন এই বাঁহাতি স্পিনার।

মৃত্যুঞ্জয়ের আউটের পর ৮০ বলে ৫ চার ও দুই ছক্কায় ৫৯ রান করা শামিমকে ফিরিয়ে আবার ম্যাচ নিজেদের দিকে ঘুরিয়ে দেন অজয় গঙ্গাপুরাম। দশম উইকেটে রকিবুল হাসানের সঙ্গে মিনহাজুর রহমান যখন জুটি বাঁধেন বাংলাদেশ তখন জয় থেকে ১২ রান দূরে। দলকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন তারা। হাতে যথেষ্ট বল, রান রেটের কোনো চাপ ছিল না। রকিবুল বল শর্ট থার্ড ম্যানে খেললে ঝুঁকি নিয়ে একটি রান নিতে চেয়েছিলেন মিনহাজুর। বেশি কিছুটা এগিয়ে যাওয়া এই ব্যাটসম্যান ফেরার চেষ্টা করতে গিয়েই স্টাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি।

পাঠকের মতামত